Advertisement |
بسم الله الرحمن الرحيم
বাংলাদেশ তাঁত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট
অনুচ্ছেদ-০১
ধারা -০১: নামকরণ
এই সংগঠনের নাম (বাংলায়):
বাতাশিপ্রই (বিএসসি) এর সকল ছাত্র-ছাত্রী ঐক্য পরিষদ।
(In English):
BSc, All Students Unity Council of BHETI
ধারা -০২: কার্যালয়
সংগঠনের কার্যালয় নিজস্ব কলেজ ক্যাম্পাস
ধারা -০৩: বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি
এটি একটি
- · বেসরকারি
- · অরাজনৈতিক
- · অলাভজনক
- · অসাম্প্রদায়িক এবং
- · উদার ছাত্র কল্যাণমুখী স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষামূলক সংগঠন।
ধারা -০৪: সংগঠনের মেয়াদ
সংগঠনের্ আহ্বায়ক/কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ৩ বছর।
ধারা -০৫: সংগঠনের কার্যক্রম
এই সংগঠনের কার্যক্রম ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক। ক্যাম্পাসের বাইরে যেকোন প্রকার কার্যকলাপ অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।
ধারা -০৬: কর্মপদ্ধতি
সংগঠনের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের জন্য আহ্বায়ক কমিটি ও বিভাগীয় কমিটি নিয়ে পরিচালনা পরিষদ গঠিত হবে।উক্ত কমিটির নিম্নবর্ণিত কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করা হবে।
আহ্বায়ক কমিটিঃ
- সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ভোট প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি বিভাগ (WPE,AE) হতে ০৮ জন করে মোট ১৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক/কার্যনির্বাহী কমিটি নির্ধারণ করা।
- যেকোনো কার্যক্রমের ক্ষেত্রে আহ্বায়ক কমিটির ৮০% সমর্থনের ভিত্তিতে কার্যক্রম নিশ্চিত করে বাজেট নির্ধারন করা।
- সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিটি বিভাগ হতে সভাপতি,সহ-সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক পদ সমূহ নির্ধারণ করে মনোনীত প্রার্থীদের দায়িত্ব ও কার্যক্রম বুঝিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করানো।
- সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রমের তালিকা তৈরি করে দায়িত্ব হস্তান্তর করা।
- বিভাগীয় কমিটির কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে আলোকপাত করা।
- সংগঠনের যাবতীয় কার্যকলাপের সমস্ত দায়ভার বহন করা।
বিভাগীয় কমিটিঃ
- সংগঠনের প্রতিটি কার্যক্রম নিজ নিজ বিভাগে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা।
- সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ঠিক রেখে সততা ও নিরপেক্ষতার সহিত সকল ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণ মূলক কাজে নিয়োজিত থাকা।
- নিজ বিভাগ ব্যাতিত অন্য বিভাগের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ না করা ও সকল বিভাগের সহিত সু-সম্পর্ক বজায় রাখা।
- স্ব – স্ব বিভাগের সকল কার্যক্রমের দায়ভার বহন করা।
ধারা -০৭: গঠনতন্ত্র সংযোজন/পরিবর্তন
- এই গঠনতন্ত্রের কোনো ধারা/উপধারা পরিবর্তন যোগ্য নয়,তবে প্রয়োজনে সংযোজন যোগ্য।
- সংযোজনের মাধ্যমে এ গঠনতন্ত্রের কোন ধারা/উপধারা বিলুপ্ত করা যাবে না।
- আহ্বায়ক কমিটি/কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনতন্ত্রের কোনো ধারা/উপধারা ভবিষ্যতে সংযোজন করার প্রয়োজন হলে,সকলের সম্মতির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সকলের নিকট উপস্থাপন করবেন।
- গঠনতন্ত্রে কোনো ধারা বা উপ-ধারা সংগঠনের মোট সদস্যের তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের উপস্থিতি ও সম্মতিক্রমে সংযোজন যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
অনুচ্ছেদ -০২
ধারা -০১: কার্যক্রম
- পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্ক বৃদ্ধি করে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং মতানৈক্য-বিভেদ দূর করা।
- কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান ।
- অসহায়,অদম্য-মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান।
- বার্ষিক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা।
- বার্ষিক বনভোজন আয়োজন করা ও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া।
- গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস সমূহ পালন করা।
- ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা
- বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা পরিচালনা করা।
- বিভিন্ন গবেষণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
- ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে সৃজনশীল প্রতিভা খুঁজে বের করা।
- সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদেরকে একটি একক ও সুনির্দিষ্ট প্লাটফর্মে নিয়ে আসা এবং বাতাশিপ্রই এর শিক্ষাগত সাফল্যের দ্বার উন্মোচন করা।
অনুচ্ছেদ -০৩
ধারা -০১:নির্বাচন পদ্ধতি
- সংগঠনের প্রথম পাঁচটি পদ (সভাপতি,সহ-সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক,সাংগঠনিক সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক) নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। (শুধুমাত্র নিয়মিত সদস্যরা ভোট প্রদান করতে পারবেন)
- আহ্বায়ক কমিটি সুষ্ঠভাবে ও সততার সাথে নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
- সভাপতি,সহ-সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক,এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য চতুর্থ বর্ষ এবং অন্যান্য পদের জন্য সেশন অনুযায়ী প্রার্থী হতে হবে।
- যে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক পড়ালেখা শেষ হয়ে যাবে তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। এক্ষেত্রে রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত একাডেমিক ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে বিবেচিত হবে।
- সদ্য বিদায়ী কমিটি ভোট প্রদান করতে পারবে।
- নির্বাচনের ক্ষেত্রে সদস্যদের জন্য প্রযোজ্যঃ-
- নিয়মিত প্রার্থীর সততা,যোগ্যতা,সংগঠনের প্রতি আন্তরিকতা, শৃঙ্খলা বিধানের যোগ্যতা, মানসিক ভারসাম্য,উদ্ভাবনীয় ও বিশ্লেষণী শক্তি, কর্মে দৃঢ়তা,অনড় মনোবল,আমানতদানিতার অবশ্যই নজর রাখতে হবে।
- আহ্বায়ক কমিটির কোনো সদস্য বিভাগীয় কমিটির প্রার্থী হতে পারবে না।
- রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত যে কোন ছাত্র-ছাত্রী মনোনয়নের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
অনুচ্ছেদ -০৪
ধারা -০১: অর্থ
সংগঠনের অর্থের খাত সমূহঃ-
- আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বিভাগীয় কমিটির সদস্যদের এককালীন ও মাসিক চাঁদা।
- সাধারণ সদস্যদের ভর্তি ফি,মাসিক চাঁদা ও কার্যক্রম ভিত্তিক চাঁদা।
- দানশীল ব্যক্তিদের দান-অনুদান।
ধারা -০২: অর্থ পরিচালনা
- প্রতিটি বিভাগের অর্থ সম্পাদকের নিকট স্ব স্ব বিভাগের অর্থ সঞ্চিত থাকবে।
- অর্থ-সম্পাদক অবশ্যই লিখিত হিসাব বহি ব্যবহার করতে বাধিত থাকিবেন।
- সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাব অর্থ-সম্পাদক যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
- আহবায়ক কমিটির অনুকূলে প্রাপ্ত তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা ব্যবস্থা থাকবে।
- অর্ধ বাৎসরিক বছর শেষে সংগঠনের সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব সকলের সামনে আনুষ্ঠানিক ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।এবং উক্ত অনুষ্ঠানে সংগঠনের কার্যক্রমে ভুল থাকলে যে কোনো সদস্য সেটা উপস্থাপন করার ক্ষমতা রাখেন।
- চাঁদা /তহবিল গ্রহণ /আদায়ের ক্ষেত্রে সম্ভব হলে ছাপানো রশিদ ব্যবহার করতে হবে।সম্ভব না হলে দাতা / চাঁদা দানকারীর স্বাক্ষর ও তারিখ অবশ্যই লিপিবদ্ধ থাকতে হবে।এক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণ যত নগণ্যই হোক না কেন, নিয়মের বহির্ভূত কার্য সম্পাদন করা অবৈধ বলে গণ্য হবে।
- অর্ধ-বার্ষিক কার্যক্রম ভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন ও অনুসরণ করতে হবে।
- আহবায়ক কমিটি কর্তৃক অর্ধ-বার্ষিক হিসাব-নিকাশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
অনুচ্ছেদ -০৫
ধারা -০১: শর্তাবলী
সংগঠনের সকল শর্তাবলী প্রতিটি সদস্য মেনে নিতে বাধ্য থাকিবেন।
- কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোনো কথা বলা যাবে না এবং গঠনতন্ত্রের বাহিরে কোনো আইন পাশ করা যাবে না।
- যে কোনো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া বা আলোচনা করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
- ভবিষ্যতে সংগঠনের কোন ব্যাক্তি বা ইউনিট যদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়,তবে উক্ত ব্যাক্তিকে বা ইউনিটকে নোটিশ বিহীন বিলুপ্ত করা হবে।
- সংগঠনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা,অসুবিধা, লাভ-ক্ষতি অনুকূল ও প্রতিকূল পরিবেশে যে কোনো আইনি বাধা বিপত্তি ও ক্রিয়া-কলাপ সহ সমুদয় দায়ভার ও ঝুঁকি সকল সদস্যকে সমভাবে বহন করতে হবে।
- সকলের সাথে সকলের সু সম্পর্ক বিরাজমান রাখতে হবে, কেউ কারো প্রতি অসস্মান কিংবা অশালীন আচরন করতে পারবে না।
- আহবায়ক কমিটিতে কোনো পদ মর্যাদা থাকবে না। সকল সিদ্ধান্ত পরামর্শক্রমে ৮০% সদস্য সমর্থন দিলেই যেকোনো কার্যক্রম শুরু করা যাবে অন্যথায় ৩০% সমর্থন না দিলে কার্যক্রম শুরু করা যাবে না।
- বিভাগীয় কমিটি কোনো সাধারন সদস্যের প্রতি খারাপ আচরন করতে পারবে না। জটিল সমস্যা দেখা দিলে আহ্বায়ক কমিটির কাছে অবহিত করতে হবে।অতঃপর সকলের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে।
- বিভাগীয় কমিটি নিজেদের সাধারণ সমস্যা নিজেরা সমাধান করবেন যদি তারা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হন তখন আহবায়ক কমিটির সাহায্য নিবেন।
- বৃহৎ কাজ আহ্বায়ক কমিটি এবং বিভাগীয় কমিটি সম্মিলিতভাবে করতে বাধ্য থাকিবেন।
- বৃহৎ কাজে সামগ্রিক ভাবে চাঁদা উত্তোলন করে উক্ত চাঁদা দিয়ে তাতক্ষনিক সমস্যার সমাধান করা হবে। এবং উক্ত চাঁদা প্রদানে সবাই বাধ্য থাকিবেন।
- আহ্বায়ক কমিটি এবং বিভাগীয় কমিটির সদস্যদের চাঁদার পরিমাণ সাধারণ সদস্যদের থেকে বেশি থাকবে।
- সব কমিটিকে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
- আহবায়ক কমিটির সদস্যগন বিভাগীয় কমিটির সদস্য বলে বিবেচিত হবেন এবং নিজ নিজ বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করবেন।
- সংগঠনের কোনো ধারা বা উপধারা অমান্য করলে সকলের সম্মতিতে যে শাস্তি নির্ধারন করা হবে তা’ নির্দ্বিধায় মেনে নিতে হবে।
অনুচ্ছেদ -০৬
ধারা -০১: শূন্যপদ পূরণ
পরিচালনা পরিষদের কোন পদ শূন্য হলে উক্ত পদের জন্য উপ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে।
ধারা -০২: পদচ্যুতি
- যদি পদাধিকার কেউ পর পর চার সভায় অনুপস্থিত থাকে তাহলে তাকে উক্ত পদ হতে অব্যাহতি দেয়া হবে।
- সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক যদি স্বেচ্ছায় সংগঠনের নীতিমালা বহির্ভূত কোনো কাজ করে অথবা তার কার্যক্রমে সংগঠনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে তাকে পদচ্যুত করা হবে। যদি আহ্বায়ক কমিটির অধিকাংশ জন সভাপতির প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি সকল সদস্যদের নিকট পেশ করতে হবে অতঃপর অধিকাংশ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দিলে সভাপতি পদচ্যুত হবেন।
- যদি আহ্বায়ক কমিটির কোনো সদস্য সংগঠনের নামে অপপ্রচার কিংবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সংগঠনের ক্ষতি করার চেষ্টা করে এবং পরবর্তীতে সেটা প্রমাণিত হয় তবে বিভাগীয় কমিটির সকল সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে সকল সদস্যদের নিকট উপস্থাপন করবেন অতঃপর সদস্যদের সমর্থন সাপেক্ষে তাকে পদচ্যুত করা হবে।
- সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বহির্ভূত কোন কার্যকলাপ সংঘটিত হলে যে কোনো কমিটির সদস্য ও সাধারণ সদস্য স্বেচ্ছায় সংগঠন ত্যাগ করতে পারবেন।
0 comments: